সৌদি-কাতার ইস্যু এবং হামাস-ফিলিস্তিন

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতার ইস্যুতে নাকি দাবি তুলেছেন, হামাসের প্রতি কাতারের সমর্থন-সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। ইহা শুনে মোটেও অবাক হইনি। বরং মনে পড়েছে কয়েক বছর আগের কথা, যখন ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছিল, আর বিশ্বমিডিয়ায় খবর এসেছিল সৌদি-আমিরাত প্রভৃতি দেশ ইসরাইলের যুদ্ধ-ব্যয় নির্বাহ করছে। যদ্দুর মনে পড়ে, সৌদি-আমিরাত তখন সে খবরের প্রতিবাদ করে নি। 

হামাস যদি সন্ত্রাসী হয়, তাদের মদদ দেওয়া যদি অপরাধ হয়, তাহলে বাংলাদেশসহ তামাম দুনিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা সন্ত্রাসী। হামাসের কর্মপদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু তারাই যে ফিলিস্তিনের গণমানুষের প্রতিনিধি এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিযোদ্ধা, এ বিষয়ে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। কারণ সর্বশেষ নির্বাচনে হামাসই ফিলিস্তিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছিল।

আজ দেখলাম, কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করাতে ইসরাঈল নাকি সৌদিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব রাজপুরুষরা যে কত বড় নির্লজ্জ দালাল, তা তারা বারবার প্রমাণ করেছে, সর্বশেষ প্রমাণ করল কাতার ইস্যুতে। ছিঃ, এরাই নাকি উম্মাহর নেতৃত্ব দেবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *