ইসরাঈলী বর্বরতা এবং সৌদি আরবের অবস্থান


ফিলিস্তিনে ইহুদি হামলা শুরু হওয়ার ২৫ দিন পর ইসরাঈলের নাম না উল্লেখ করে বিশ্ব সমাজের “নীরবতার প্রতিবাদ” করেছেন সৌদী বাদশাহ আব্দুল্লাহ।
সৌদী গ্র্যান্ড মুফতি ফতওয়া জারি করেছেন, ইসরাঈল বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম!!
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গাজায় ইসরাঈলী হামলার ব্যয়ভার বহন করছে সৌদী, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দান!
প্রথম খবরের পিছনের রহস্য তাহলে কিছুটা বুঝা গেল। সরাসরি ইসরাঈলকে সাহায্য করার কথা অস্বীকার করার মত মিথ্যাবাদী তো আর মহামান্য বাদশাহ নন! তাই তিনি ফিলিস্তিনীদের জন্যে মায়াকান্না করে কিছুটা ভার হালকা করতে চাচ্ছেন! কিন্তু ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কথা বলা তো হারাম! তাই, ইসরাঈলের নাম উল্লেখ না করেই দায় সারলেন। যাই বলুন, গ্র্যান্ড মুফতীর ফতওয়া বলে কথা!

এখন কথা হলো, ইসরাঈলের প্রতি ঘৃণা ও ফিলিস্তিনীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শর্ন করে আমরা যারা ইসরাঈলী পণ্য বর্জন করেছি, আমরা কী ভেবে দেখেছি, সেভেন আপের মুনাফা ইসরাঈলে পৌছার আগে হজ্জের টাকা ইসরাঈলে পৌছে যাবে? আমি পণ্য বর্জনের বিরোধীতা করছি না, কারন সব কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কথা হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট মোতাবেক, সৌদী যদি গাজা যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করে, তা হলে দেখা যাচ্ছে উমরা কিংবা হজ্জের উদ্দেশ্যে যে টাকা মানুষ ব্যয় করছে, তার যে বিরাট অংশটি সৌদী কোষাগারে জমা হচ্ছে, সেই টাকা দিয়ে ই অসহায় ফিলিস্তিনীদের হত্যা করা হচ্ছে!
এই তিক্ত সত্যটি এভাবে উপস্থাপন করা উচিৎ কি না, এই ভেবে পোষ্ট টা লিখতে দেরী হলো। অবশেষে মনের কথাগুলো লিখে ফেললাম। জানিনা, ইসলামের পবিত্র কেন্দ্রভূমিতে আর কতদিন মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর স্বপ্নের সৌদি রাজপরিবারের এই মুনাফেকী চলবে। রাহমান রাহীম আল্লাহ কোন মহামানবের উসিলায় মুসলিম উম্মাহকে এই বিভীষিকা থেকে রেহাই দিবেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *