সাধারণ জ্ঞান…

সাধারণ জ্ঞানকে গুডবাই জানিয়েছিলাম ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার দিনই। এরপর আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা তো দেই-ই নি, তাই সাধারণ জ্ঞানের দরকারও পড়ে নি। একসময় নিয়মিত পত্রিকা পড়লেও ঐ সময়ের পর থেকে পত্রিকা পড়াও কমে যায়, এমনকি এখন দৈনিক পত্রিকা পড়ি না বললেই চলে, যদিও মাঝে মাঝে লিখি। 

আজ (চার তারিখ) বিশেষ প্রয়োজনে গত মাস দুয়েকের পত্রিকার প্রথম ও শেষ পাতায় চোখ বুলানোর পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের পুরনো বইটিও হাতে নিতে হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর থেকে যেটি অবহেলায়-অযতনে পড়ে ছিল। তার আগে গতকাল বাজারে গিয়ে কারেন্ট ওয়ার্ল্ড টাইপ পত্রিকারও খোঁজ নিলাম, আমাদের বাজারে নাকি এখনো চলতি মাসের এই টাইপের কোন পত্রিকাই পৌছেনি, গত মাসের সব কপিই বিক্রি হয়ে গেছে। তার আগের মাসের, আর্থাৎ মে মাসের কারেন্ট ওয়ার্ল্ড আর কারেন্ট নিউজ পাওয়া গেল। ঘাটাঘাটিতে সুবিধা হবে ভেবে দুটোই কিনি নিলাম।

সব মিলিয়ে বিরক্তিকর একটা দিন কাটালাম, অনেক পুরাতন খবরও আজ জানলাম, পত্রিকা না পড়ার সুবাদে সময়মতো যে বিষয়গুলো জানতে পারি নি। ভাবছি, সাধারণ জ্ঞান বলে আমাদের দেশে যে জগাখিচুড়িটা চলে, এটা দিয়ে আমাদের মগজকে আর কতকাল গোদামঘর বানিয়ে রাখতে হবে? এখন হয়তো গিলছি না, কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষে আবারও তো এসব জগাখিচুড়ি গেলা শুরু করতে হবে। একসময় এসব খুবই ভালো লাগত, এখন খালি বিরক্ত হই। যেসব তথ্য সারা জীবনেও আমার কাজে আসবে না, আবার আমার কোন কৌতুহলও নেই, সেসব বিষয়ে জানতে বাধ্য করা হবে কেন আমাকে? এ কেমন নির্যাতন রে বাবা!

আইনস্টাইন নাকি নিজের বাসার নাম্বার কিংবা টেলিফোন নাম্বারটাও মুখস্থ রাখতেন না, কিন্তু আমাদেরকে নেলসন মেন্ডেলার কারাকক্ষের নাম্বারও মুখস্থ রাখতে হয়! অবশ্য আমারও নিজের বর্তমান ঠিকানার বাসা নাম্বার কিংবা নতুন কেনা বাংলালিংক সিমের নাম্বার মুখস্থ নেই, এদিক থেকে নিজেকে আইনস্টাইন আইনস্টাইন মনে হচ্ছে!! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *