আর কোন কিছু যখন ভাল্লাগে না, বই পড়েই তখন সময় কাটাতে হয়। ইদানীং পিডিএফ আর স্মার্টফোনের বদৌলতে আমার এ আদত অনেকেরই জানা হয়ে গেছে। কিন্তু বিপদে পড়ি, যখন আমার মতো ‘পড়ুয়ার‘ কাছ থেকে কোন বিষয়ে পান্ডিত্যপূর্ণ কথাবার্তা শুনতে চাওয়া হয়। আসলে আমি কী পড়ি, অনেক সময় আমি নিজেও তা জানি না। কী পড়ছ কিংবা কার বই পড়ছ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় প্রচ্ছদ দেখে। একবার পড়েই আত্মস্থ করার মতো মেধা আমার নেই, অথচ একই বই দুইবার পড়ার ধৈর্যও নেই। ফলে স্বভাবতই, আমাকে একজন ‘পড়ুয়া‘ হিসেবে বিবেচনা না করাই ভালো। করলে আমাকেও বিপদে ফেলবেন, আপনিও হতাশ হবেন।
আসলে আমি বই পড়ি শুধু এবং শুধুই সময় কাটানোর জন্যে। এমনকি সিরিয়াস বইগুলোও পড়ি সময় কাটানোর জন্যে, আর কোন মহৎ উদ্দেশ্যে নয়। কাজেই আমার হাতে কোন সিরিয়াস টাইপ প্রবন্ধ কিংবা গবেষণাগ্রন্থ দেখে কেউ যেন কোন উচ্চধারণা পোষণ করে প্রতারিত না হোন, এ আমার বিনীত অনুরোধ। কবিতা টবিতা বুঝি না এবং পছন্দও করি না বলে গদ্যগ্রন্থই হাতে নিতে হয়, তা মাসুদ রানাই হোক, আর উচু দরের গবেষণাই হোক। সব পড়ার এক মকসুদ, সময় কাটানো…
সময় কাটানোর জন্যেই যেহেতু বই পড়া, তাই অনায়াসে বোধগম্য নয়, এমন বই ভুলেও হাতে নিই না। কাজেই, বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায়, ইয়া‘নি আরবী ইংরেজিতে লেখা বই খুব জরুরত ছাড়া পড়ার রেকর্ড খুব একটা নেই বললেই চলে। কাজেই এ বিষয়ে সুআল করেও হতাশ কিংবা নিরাশ হওয়া নিস্প্রয়োজন।
নানাবাড়ি,
রাত ১২:২৩
১৩/১০/২০১৬