জামাতে সূরা, ফরিক-১ এ ভর্তি চলছে…
একটা পিচ্চিকে বললাম, তোমার গ্রামের নাম কী? “থানাবাজার”, ওর উত্তর। থানাবাজার কোন গ্রামের নাম নয়, আর সুরাতে পড়ার জন্যে থানাবাজার থেকে জকিগঞ্জে কেউ আসে না, তাই ওকে আবার প্রশ্ন করলাম “তোমার গাউর নাম কিতা?” বলল “জকিগঞ্জ”!
সাথে থাকা আরেক ক্বারী সাহেবকে বিষয়টা জানালে তিনি আমাকে সাহায্য করতে চাইলেন। কিন্তু ওর কাছ থেকে এমন কোন উত্তর ই পাওয়া যাচ্ছিলো না, যা ভর্তি খাতায় লেখা চলে। শেষে অপর কারী সাহেব বললেন, “তুমি খান থাকি আও?” “নসিংফুরর (নরসিংহপুরর) অবায় থাকি”, ওর উত্তর। আমি নরসিংহপুরই লিখতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু তিনি বললেন আরেকটু দেখা যাক। উপস্থিত ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্য করে জানতে চাইলেন, তারা কেউ ওকে চিনে কি না। অবশেষ ওকে চিনে এমন কয়েকজনকে পেলাম, এবং জানতে পারলাম ওর গ্রামের নাম হাইদ্রাবন্দ।
দারুল কেরাতে পড়াতে গেলে প্রায়ই এ রকম মজার অভিজ্ঞতা হয়। রোযা রেখে যে ক্লান্তি অনুভূত হয়, দারুল কেরাতে গেলে তা আর বুঝা যায় না… … কিন্তু, বাস্তবতা হলো, এবার দারুল কেরাতে পড়ানো ৫ রোযাতেই শেষ হয়ে যাবে। এর পরের দিনগুলো কাটাতে কিছুটা কষ্ট হবে, সন্দেহ নাই… রোযা রেখে সময় কাটানোর জন্যে দারুল কেরাতের চেয়ে ভালো কোন বিকল্প আছে বলে মনে হয় না… …