ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের স্বার্থে কিছু “ঐতিহাসিক” প্রস্তাবনা

Dhaka University 1906301944
  • চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি পড়া শিক্ষার্থীরা ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো নাম্বার পেয়েছে যাদের প্রণীত প্রশ্নে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
  • সি ইউনিটে মাদ্রাসা ছাত্ররা পরীক্ষা দেয় না। সেখানে ইংরেজিতে যারা ফেইল করেছে, তাদেরকে কেন ফেইল করানো হলো, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হোক।
  • , বি ও ডি ইউনিটে সাধারণ ধারার যে সকল শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস থাকা সত্ত্বেও ইংরেজিতে মাইনাস মার্কস পায়, তাদেরকে পরীক্ষার আগের রাতে অফিসিয়ালি ইংরেজির প্রশ্ন পাঠিয়ে দেয়া হোক। তাহলে ইংরেজিতে অদক্ষ মাদ্রাসার ছাত্রদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে।
  • ভর্তি পরীক্ষার ইংরেজি অংশের প্রশ্ন করার দায়িত্ব মেসবাহ কামাল স্যারকে দেয়া হোক। (অবশ্য নিন্দুকেরা বলে, তার আগে গত দুই এক বছরের ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নে স্যারের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে!)
  • যে সকল বিভাগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করার অনুমতি পায়, তার বেশির ভাগ ডিপার্টমেন্টেই টপ পজিশনে একাধিক মাদ্রাসা ছাত্রকে দেখা যায়। মেসবাহ কামাল স্যারের ইতিহাস বিভাগও এর বাইরে নয়। নিঃসন্দেহে এসকল বিভাগের স্যাররা মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে ৯০ থেকে মার্ক দেওয়া থেকে শুরু করে পারলে একশর মধ্যে একশর চেয়ে বেশি মার্কদিচ্ছেন, অথচ সাধারণ ধারার ছাত্রদেরকে বঞ্চিত করছেন। নাহলে ক্লাস ফোরের ইংরেজি পড়া শিক্ষার্থীরা এসব বিভাগে কীভাবে এত ভালো করছে?  তাই আমাদের প্রস্তাবনা হলো- ইতিহাস বিভাগসহ এ সকল বিভাগের স্যারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, কেন তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে এতো নাম্বার দেন।
** এবার আমার ব্যক্তিগত একটা অভিযোগ আছে। মাদ্রাসায় ৯০ থেকে মার্কস দেওয়া শুরু হয়, অথচ আমি জেডিসিতে এ মাইনাস, আর দাখিল ও আলিমে কোন রকমে এ গ্রেড পেলাম। আমার গোল্ডেন এ+ কে চুরি করল, সে বিচার মেসবাহ কামাল স্যারের আদালতে দিয়ে রাখলাম।
এখন একদল বলতে আসবেন, আসলেই তো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি কম পারে। তাদেরকে বলি, তাহলে মাদ্রাসার থেকে এসে কেউ কেউ ইংরেজিতে ১৮+ পেয়ে যাচ্ছে কীভাবে? আর সাধারণ ধারার অনেকেই কেন ইংরেজিতে ফেইল, এমনকি মাইনাস মার্কস পাচ্ছে?
আরেক দল বলতে চাচ্ছেন, আসলেই মাদ্রাসা থেকে রেজাল্ট করা সহজ। ভাই, মুখস্থ কথা না বলে গত কয়েক বছরের রেজাল্ট দেখুন। আপনাদের সাধারণ ধারার সব এ প্লাস পাওয়ারা যদি ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারত, তবে এ রকম পাঁচটি ঢাবি বানালেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগই পেতো না। কেননা বর্তমানে মাদ্রাসায় এ প্লাস দিন দিন কমছেই।
আর বাস্তবতা হলো, পরীক্ষায় শিথিলতার সাথে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, “আই এম জিপিএ ফাইভ”দের এ+ পাওয়া, এ সকল সাধারণ ধারায়ই হচ্ছে, যা প্রমাণিত সত্য। আমি বলছি না, মাদ্রাসা সেটার বাইরে। বরং সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার যে হাল, মাদ্রাসারও সেই একই হাল। এটাই বাস্তবতা।
এরপর আরেক দলের দেখা মিলে, যাদের কথা হলো, বিচার যাই হোক, তাল গাছ আমার। হ্যাঁ ভাই, তাল গাছটা আপনারই। সেজন্যেই তো উপরের প্রস্তাবনাগুলো পেশ করা হলো।
পুনশ্চ: আমাদের ডিপার্টমেন্টটা আসলেই উচ্চতর মাদ্রাসা বটে (মেসবাহ কামালীয় দৃষ্টিকোণ থেকে), এখানকার সকল শিক্ষার্থীই কমপক্ষে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ। কাজেই আজকের দিনটা আমাদের খুব ভালো কেটেছে। মাঝে মধ্যে এ রকম মজার মজার কৌতুক পরিবেশনের জন্য মেসবাহ কামাল স্যারের প্রতি সবিনয় অনুরোধ রইলো।

(ইহা কিছুটা রম্য, কিছুটা ব্যঙ্গ, বিছুটা বিদ্রূপাত্মক রচনা। আশা করি, লেখাটি সে হিসেবেই নিবেন। খুব বেশি সিরিয়াস হয়ে লাভ নাই।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *