ঢাবি ২০১৫-১৬ ব্যাচ ও দুইটি মৃত্যু

প্রতি বছরই ঢাবিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে আমরা এসেছি। আগামীতেও অনেকেই আসবে।

কিন্তু আমরা এসেই যে ধাক্কা খেলাম, তা কি প্রতি টি ব্যাচই খায়?

প্রথমেই হারালাম ব্যাচমেট হাফিজুরকে। স্যারেরা সেই খবর জানলেন পত্রিকা পড়ে। আমাদের তখন কিচ্ছু করার ছিলো না, শুধু মন খারাপ করে বসে থাকা, প্রশাসনের সমালোচনা, কিংবা আন্দোলন করা ছাড়া। হাফিজুরকে আমরা রাখতে পারি নি এই ক্যাম্পাসে। ব্যর্থ হয়েছি

এর পরেই শুনলাম আমাদেরই আরেক জনের কথা না, ও হাফিজুরের মতো হঠাৎ চলে যায় নি, আমাদেরকে কিছুটা হলেও সময় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কিছু করে নি হয় তো, কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি ওকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে আমাদের মধ্যে অনেকে তো ক্লাস-পরীক্ষা সব কিছু ভুলে জাহিদুরের জন্যেই রাত দিন পার করছিলো। কিন্তু আবারো আমরা ব্যর্থ, পরাজিত। 

.

hgh
বন্ধুকে সান্তনা দিতে সবাই চুল ফেলে দিয়েছিলেন…


ক্যাম্পাসে এসেছি, এখনো দুই মাস হয় নি। এর মধ্যেই হারিয়ে ফেললাম দুই জনকে কোনজনকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না কিন্তু আজ চোখের জল ধরে রাখতে পারছি না 

আল্লাহ! এদের তুমি বেহেস্ত নসিব কর! আর আমরা সবাইকে হেফাজত কর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *